মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম

মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম– আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক বৃন্দ, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনি কি মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকে আমি শেয়ার করব মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম নিয়ে। আশা করি সবাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

বাংলাদেশ সরকার 1লা জুলাই 2021 থেকে মোবাইল রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত একটি আইন করেছে। আপনার মোবাইল এখন বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইটে (BTRC) এর অধীনে রেজিষ্ট্রেশন লাগবে। আপনার মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করা না থাকলে আপনার মোবাইল ফোনটি অবৈধ ঘোষণা করা হবে। মোট কথা হল তারা বলেছে যে আপনি যদি কোন সেলস সেন্টার বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল কিনেন তাহলে মোবাইলের বৈধতা যাচাই করুন এবং আপনাকে অবশ্যই মোবাইল ক্রয়ের রসিদ সঙ্গে আনতে হবে।  যদি আপনার মোবাইল ইতিমধ্যেই নিবন্ধিত হয়ে থাকে তবে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার NEIR সিস্টেমে রেজিষ্ট্রেশন হবে।

আর বিদেশ থেকে মোবাইল আনলে অবশ্যই আপনার মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করবেন তা আজকের পোস্টে বিস্তারিত বলা হয়েছে।  মোবাইল রেজিস্ট্রেশনের জন্য কত টাকা লাগবে সেই বিষয়টিও আমি তুলে ধরছি।

আরও পড়ুনঃ

মোবাইল রেজিস্ট্রেশনের জন্য কত টাকা লাগবে?

প্রথমত মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগবে?  উত্তর হল আপনার মোবাইল রেজিস্টার করতে কোন টাকা লাগবে না।  কারণ কোন দোকান থেকে মোবাইল কিনলে সেই দোকানদার এই মোবাইলের ট্যাক্স দিয়ে আগে থেকেই বাংলাদেশে মোবাইল বিক্রি করছে।
আপনার কাছে যদি কোনো দোকানদার রেজিস্ট্রেশনের জন্য টাকা চায়, তাহলে দোকানদারকে সরাসরি না করুন। তার দোকান থেকে মোবাইল কেনার দরকার নেই। আর আপনি যেকোন ই-কমার্স থেকে মোবাইল কিনলেও মোবাইল রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন টাকা চাইলেও তাদের থেকে কোন পণ্য নেবেন না।  কারণ তারা এদেশে ব্যবসা করতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে তারপর তারা ব্যবসা করবে।  তাই মোবাইল রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোন টাকা লাগবে না।

আরও পড়ুনঃ  পকেট রাউটার এর দাম ২০২৪ | পকেট রাউটার বাংলাদেশ প্রাইস | Pocket Router Price In Bangladesh 2024

একটি বিদেশী মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগবে

বিদেশ থেকে মোবাইল আনলে রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগবে?  উত্তর হল কোন টাকার প্রয়োজন নেই, আপনি শুধু অনলাইনে নিবন্ধন করুন।

কিন্তু বিদেশ থেকে মোবাইল আনার নিয়ম আছে যে দুটি মোবাইল সঙ্গে আনলে সরকারকে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না।  তবে আপনি যদি আরও মোবাইল আনতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই ট্যাক্স দিতে হবে এবং সর্বোচ্চ 6টি মোবাইল আপনার সাথে আনতে পারবেন।  কিন্তু মোবাইল রেজিস্ট্রেশনের জন্য আপনাকে কোনো টাকা দিতে হবে না।  আপনি সহজেই অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন।  কিন্তু আপনার মোবাইল ক্রয়ের রসিদ বা আপনার পাসপোর্ট ভিসা ইত্যাদির মতো আপনার কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।

মোবাইল রেজিস্ট্রেশন চেক

বাংলাদেশ থেকে কোন মোবাইল কিনলে বা বিদেশ থেকে কোন মোবাইল আসে, আগে চেক করে নিন। আপনার মোবাইল BTRC এর ডাটাবেসে আছে কিনা। এটি ডাটাবেসে থাকলে, আপনাকে আবার রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে না।  আর না হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।  আমি নিচে বলে দিছি কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।  তার আগে কিভাবে আপনার মোবাইলের বর্তমান অবস্থা চেক করবেন।  মোবাইল রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম:

প্রথমে আপনার মোবাইল থেকে *16161# ডায়াল করুন। তারপর আপনার মোবাইলে কিছু অপশন দেখতে পাবেন, সেখান থেকে Status Check সিলেক্ট করুন।  তারপরে আপনার সামনে একটি বক্স আসবে যেখানে আপনাকে একটি 15-সংখ্যার IMEI নাম্বার লিখতে হবে।  আপনি যদি IMEI নাম্বার খুঁজে না পান তাহলে আপনার মোবাইল থেকে এই কোডটি *#06# ডায়াল করুন।  আপনি ডায়াল করার সাথে সাথে একটি 15 সংখ্যার IMEI নম্বর পাবেন।  এই বক্সে সেই নাম্বারটি লিখুন।

এরপরে, আপনার সামনে একটি অপশন আসবে চেক করার জন্য, এখান থেকে আপনাকে হ্যাঁ বা না নির্বাচন করতে হবে, তারপর হ্যাঁ নির্বাচন করতে হবে।  তারপর আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মোবাইলে একটি বার্তা পাবেন যে আপনার মোবাইলটি রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে কিনা।

আরও পড়ুনঃ  বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার। Bkash Live Chat

বিদেশী মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম

  1. আপনার মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করতে আপনি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন https://neir.btrc.gov.bd/auth/login।  এই ওয়েবসাইট ভিজিট করার পরে, আপনি প্রথম জিনিসটি ওয়েবসাইট থেকে কীভাবে করবেন তার নির্দেশাবলী পড়তে হবে।

এরপর আপনি একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, আপনি আপনার প্রোফাইলে একটি বিশেষ রেজিষ্ট্রেশন অপশন দেখতে পাবেন।  সেখানে গিয়ে আইএমইআই নাম্বার দিতে হবে।  আপনি যদি আইএমইআই নাম্বার খুঁজে না পান তাহলে আপনার মোবাইল ফোন থেকে ডায়াল করুন *#06#।  তাহলে আপনি আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বার পেয়ে যাবেন।

তারপর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে (যেমন: পাসপোর্ট ভিসা, ইমিগ্রেশন, মোবাইল ক্রয়ের রসিদ ইত্যাদি)।  আপনার মোবাইল ফোন বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেজিষ্ট্রেশন হবে।  আর তা বৈধ না হলে আপনার মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে।

শেষ কথা

আজকের পোস্টে মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। মোবাইল কেনার আগে অবশ্যই আপনার মোবাইলটি ভালোভাবে চেক করে নিবেন মোবাইলটি অফিশিয়ালভাবে রেজিষ্ট্রেশন কিনা। ধন্যবাদ সবাইকে।

Rate this post

2 thoughts on “মোবাইল রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম”

Leave a Comment